বিবাহের ৭২ ঘন্টার মধ‍্যে স্ত্রীর সামনেই স্বামীর মৃত‍্যু গাড়ি দুর্ঘটনায় , রহস‍্য ঘটনাকে ঘিরে

4th July 2020 9:36 am বাঁকুড়া
বিবাহের ৭২ ঘন্টার মধ‍্যে স্ত্রীর সামনেই স্বামীর মৃত‍্যু গাড়ি দুর্ঘটনায় , রহস‍্য ঘটনাকে ঘিরে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : সাতসকালে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বাইক আরোহী। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুইজন। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া সোনামুখী থানা এলাকার জুনসরা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনাটি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। করা হয় বেশ কিছুক্ষণ পর অবরোধও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত তিনদিন আগে অর্থাৎ বুধবার রাতে স্থানীয় একটি কালী মন্দিরে সোনামুখী থানার জুনসরা গ্রামের বছর ৩৫ এর ডেকোরেটার্স ব্যবসায়ী মহাদেব নন্দী সঙ্গে বিয়ে হয় দিল্লির নিবাসী আশা সিংয়ের। কোন একটি কারণ নিয়ে বিয়ের দিন থেকেই অশান্তি শুরু হয় দুই পরিবারের মধ্যে। ছবি : দুর্ঘটনার কবলে মোটরবাইক


স্থানীয় এবং প্রতিবেশী সূত্রে খবর, মেয়েটির পূর্ব বিবাহিতা। এবং তার স্বামী এখনো বর্তমান রয়েছে। এই অবস্থায় স্ত্রী আরেকটি বিয়ে করার কথা স্বামী জানতে পারাতেই অশান্তির সূত্রপাত। আজ ভোর নাগাদ স্ত্রী এবং দিদা শাশুড়ীকে সঙ্গে নিয়ে একটি বাইকে করে মহাদেব নন্দীর নববিবাহিত স্ত্রী কে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে নিয়ে যাচ্ছিলেন এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। সোনামুখী থানার মাস্টারডাঙ্গা এলাকায় আশা সিং এর মামার বাড়ি। স্থানীয়দের অভিযোগ মেয়ের দিদা এবং মেয়ে মিলে পরিকল্পিতভাবে বাইক থেকে ঠেলে ফেলে দেয় মহাদেব নন্দী কে। উল্টো বর্ধমান দিক থেকে আসা একটি ডাক বিভাগের পার্সেল পিকআপ ভ্যানের চাকায় পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মহাদেব নন্দীর।

ছবি : আটক ডাক নিয়ে যাওয়া পিক আপ ভ‍্যান

এরপরে উপযুক্ত শাস্তি এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্থানীয় মানুষজন বেশ কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করে। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় আহত আশা সিং এবং তার দিদা কে পুলিশ উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে চিকিৎসার জন্য। পুলিশ আশা  সিংএর বাবা এবং দাদু কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।